এ ব্যাপারে সোমবার কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দারা জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।
এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়,১০/১২ দিন ধরে মৌলভীবাজার নিবাসী আশরাফ আলী সেখান কার মনু নদীর লিজকৃত বালু মহালের কাগজপত্র উপজেলা প্রশাসনে জমা দিয়ে প্রতারনামূলক ভাবে স্হানীয় আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ সংলগ্ন কুশিয়ারা নদী থেকে লক্ষ লক্ষ ঘটফুট বালু উত্তোলন করে মজুূদ করে বিক্রি করছে। কুশিয়ারা নদী হইতে হাউড্রোলিক ডেজার ও বাল্কহেট বোট দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসী নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বসতবাড়ি হারাচ্ছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা হইতে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীতে কোন প্রকার বালু মহাল নেই। অথচ মৌলভীবাজার নিবাসী আশরাফ আলী অন্য একটি মহালের কাগজ অফিসে জমা দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন এ বিষয়ে মনুনদী-১৬ (চানপুর) মহালের মালিক হায়দায় আলী জগন্নাথপুর থানায় ২২ সেপ্টেম্বর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। থানা থেকে উভয়পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার কথা বললেও আশরাফ আলী কাগজপত্র নিয়ে হাজির হননি।
রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা ছানু মিয়া জানান, কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরকার কে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি আশরাফ আলী মৌলভী বাজার এলাকার মনু নদীর বালু উত্তোলনের কাগজ জমা দিয়ে প্রতারনামূলক ভাবে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জের কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছি।
আশরাফ আলীর মুঠোফোনে বার বার ফোন দেওয়া হলে প্রথমে ফোন গেলেও পরে মুঠোফোন বন্ধ করে দেন। একইভাবে
আশরাফ আলীর স্হানীয় প্রতিনিধি রানীগঞ্জের বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কুশিয়ারা নদী থেকে কোন বালু উত্তোলন করা হচ্ছে না।
মঙ্গলবার জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান,একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply